তৌহিদুর রহমান জেলা প্রতিনিধি- ঃ

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতীবান্দা ইউনিয়নের ঘাগড়া প্রধানপাড়া তেতুলতলা টু তিনানী বাজার পাকা রাস্তা সংলগ্ন হক এগ্রো এন্ড ফিসারিজ নামে একটি মৎস্য খামার রয়েছে। খামারটির স্বত্ত্বাধিকারী ওই গ্রামের বসবাসকারী জাসদ ঝিনাইগাতী উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক একেএম ছামেদুল হক। তিনি জানান, তার ৩ একর জমির তিনটি পুকুরে ৬০ হাজার পাংগাস মাছ রয়েছে। বর্তমানে ওজন হয়েছে ২৫টি মাছে এক মন সেই হিসাবে ২ হাজার মন পাংগাস মাছ হবে সেই সাথে অন্যান্য প্রজাতির মাছও রয়েছে। বর্তমান পাংগাস মাছের বাজার মূল্য ৬ হাজার টাকা মন, এ হিসাব অনুযায়ী কোটি টাকার উপরে মাছ বিক্রি করার আশা করছেন তিনি।

মৎস্য চাষী ছামেদুল হক জানান, প্রথমে ছোট পরিসরে ২৫ শতাংশ পুকুরে মাছ চাষ শুরু করলেও বর্তমানে তিনি ৩ একর জমিতে পাংগাস মাছ চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। মৎস্য অধিদপ্তরের পরামর্শ মূলক সহযোগিতায় মৎস্য চাষ শুরু করেন ছামেদুল হক। প্রথম বছরেই সাফল্যের মুখ দেখেন তিনি। পরের বছর আরও দুটি পুকুরে বিভিন্ন জাতের দেশীয় মাছ চাষের বিস্তৃতি বাড়ান। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ছামেদুলকে। বর্তমানে তিনি ৩ একর জমিতে পাংগাস মাছ চাষ করছেন। চলতি বছরে বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী কোটি টাকার উপরে পাংগাস মাছ বিক্রি করবেন তিনি।

এ অবস্থায় ছামেদুল হক নিজে স্বাবলম্বীসহ এলাকার অনেককেই মৎস্য চাষের পরামর্শ দিয়ে স্বাবলম্বী করছেন। জেলা-উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ‘ছামেদুল হক মাছ চাষের ওপর যে কাজ করছেন তা মৎস্য অধিদপ্তরের কাছে দৃষ্টান্ত। ছামেদুল বর্তমানে একজন সফল মৎস্য চাষী।’ মৎস্য চাষী ছামেদুল হক বলেন, মাছের খাদ্যের দাম অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুদ্র চাষীদের আর্থিক সমস্যা দেখা দিয়েছে।