মেনহাজুল ইসলাম তারেক, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

দেড়শ বছরেরও বেশি সময় ধরে রেলওয়ের কর্মচারীদের বেতন-ভাতার কাঠামো স্বতন্ত্র। কিন্তু নতুন বেতন-ভাতা কাঠামোয় ‘মাইলেজ’ সুবিধা বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কায় ট্রেনের চালক ও গার্ডরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। মাইলেজের সুবিধা কমানোর প্রতিবাদে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে গত (৬ আগস্ট) রবিবার সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ (লোকোমাস্টার-গার্ড-টিটিই) এর আয়োজনে পেনশন কমানোর প্রতিবাদে সর্ব স্তরের রানিং স্টাফদের অনির্দিষ্টকালের কর্ম বিরতির র‌্যালী ও পথসভা করেছে সংগঠনটি।
রেল ভবনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রায় প্রতিদিনই তারা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করছেন। মাইলেজ (অতিরিক্ত হিসাবে মাইল প্রতি আর্থিক সুবিধা) সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে ট্রেন চালানো বন্ধসহ লাগাতার আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি সফটওয়্যার আইবাস প্লাস’র মাধ্যমে রেলের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে পরিবহণ বিভাগের (রানিং স্টাফ) ‘মাইলেজ’ সুবিধা বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর প্রতিবাদে রেলভবন ঘেরাও সহ রেলের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের কারখানায় বিক্ষোভ করা হচ্ছে। বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি পালনের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ের রানিং স্টাফ (চালক-গার্ড) ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি বি এম শহীদুল ইসলাম রানা বলেন, আমাদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। আমাদের বঞ্চিত করতে একটি চক্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর এক অনুশাসনে তাদের মাইলেজ (রেলের আইন অনুযায়ী) পাওয়ার কথা বলা রয়েছে। আমাদের পক্ষে আদালতের রায়ও আছে। কিন্তু, সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে রেলের মাইলেজ সুবিধা নতুন করে নির্ধারিত করা হয়েছে।
এটি রেলওয়ে আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটি বাস্তবায়ন করা হলে মাইলেজ সুবিধা থেকে চালক-গার্ডরা বঞ্চিত হবেন। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বেসিকের সঙ্গে ৭৫ শতাংশ টাকা যোগ হবে না।
তিনি আরও বলেন, ১৬২ বছরের নিয়ম-নীতি ভঙ্গ হলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব। ট্রেন চালানো বন্ধ করে দেওয়া হবে। অধিকার বাস্তবায়নে যা যা করা দরকার আমরা তাই করব।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সাইফুল আজম, টি টি রাসেল, মোস্তাফিজুর রহমান ও মানোয়ার হোসেন প্রমুখ।