রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীতে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করার জন্য রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাস। সোমবার বিকেলে তাঁর পদত্যাগ পত্র গৃহিত হয়েছে। আজ ২৮ শে নভেম্বর বেলা সারে ১২ টায় রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের হাত থেকে তার মনোনয়ন ফরম নেন।
পেশায় এ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাসের জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫। তাঁর বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে। তিনি ১৯৮৫ সালে প্রথমবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯০, ২০০৯ ও ২০১৯ সালে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে তিনি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন।
জানা যায়, তিনি রাজনৈতিক জীবনে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামীলীগে যোগ দেন। জেলা আওয়ামীলীগের বিগত কমিটিতে তাকে সাংস্কৃতিক সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়। কিন্তু যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি অভিযোগ তুলে আওয়ামীলীগ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে সবশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন চেয়ে ছিলেন। মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন।
এ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাস বলেন, আমি সকালে পদত্যাগপত্র জমা দেই। পদত্যাগপত্র গৃহিত হওয়ার কপি বিকেল সাড়ে ৪টায় পেয়েছি। ২৯ নভেম্বর আমি মনোনয়নপত্র জমা দেবো। ইতিমধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চার হাজার ২০০ জন ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান সংসদ সদস্য গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে রাজবাড়ীর কোনো উন্নতি করতে পারেন নাই। জেলায় আয়বর্ধক বা কর্মসংস্থান তৈরি হয়নি। নদী ভাঙনের শিকার অসহায় মানুষের জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আমি নির্বাচিত হলে গোয়ালন্দে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো। পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ মোড় থেকে পাংশার হেনার মোড় এবং বারেক গ্রাম হাওড় এলাকাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবো। গোয়ালন্দে ইপিজেড নির্মাণ করার চেষ্টা করবো। এতে করে জেলায় কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
বর্তমানে  রাজবাড়ীর (রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলা) সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী। এবারও তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ – সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কাজী কেরামত আলী ছয়বার নির্বাচন করে পাঁচবার বিজয়ী হন। গতবার তিনি শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।