রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীতে শুক্রবার বিকেলে ছাত্রলীগের নেতা ছাত্রলীগের নেতা শেখ সুমন সবুজ (৩২) হত্যাকান্ডে জড়িত সকল অস্ত্রধারী খুনিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে উড়াকান্দা ফুটবল মাঠে এই সভার আয়োজন করা হয়।
নিহত সবুজ সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম শামসুল আলম শেখ। সবুজ বরাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত সবুজের বাবা শামসুল আলম শেখ বাদী হয়ে ২৫ এপ্রিল বিকেলে অজ্ঞাতনামা আসামি করে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করেন।
প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কাজী কেরামত আলী। সভাপতিত্ব করেন বরাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আরশাদ আলী সরদার। এতে আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হেদায়েত আলী, জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিক হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আসজাদ হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আলী শেখ, জেলা মহিলা যুবলীগের সভাপতি কানিজ ফাতেমা, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, নিহত সবুজের বাবা বরাট ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শামসুল আলম শেখ, বরাট ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক নিকবার হোসেন প্রমূখ। সভা পরিচালনা করেন জেলা কৃষকলীগের নেতা আবু বক্কার খান।
২৩ এপ্রিল, রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ সুমন সবুজ মারা যান। এর আগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সবুজের বাড়িতে হামলার ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সজীব শেখ নামের আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয়।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় চেষ্টা চলছে।